ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০৩৪ বিশ্বকাপ ফুটবল সৌদি আরবে, ২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে দুই খাতে ৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি হাতকড়া নিয়ে মায়ের শেষযাত্রায় ছাত্রলীগ নেতা ২০২৫ সালে কী হতে পারে, ভবিষ্যদ্বাণী নস্ত্রাদামুসের আর্মি এভিয়েশন গ্রুপকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ার ঘোষণা ইসরায়েলের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন ২ হাজার ১১১ জন সুদানে বোমা হামলায় দুই দিনে নিহত ১২৭ কোরীয় প্রেসিডেন্টের অভিসংশন চাইলেন কে পপ তারকারাও শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন পিএসএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট ১১ জানুয়ারি, আইপিএলে অবিক্রীতদের দিকে চোখ চবিতে অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে যারা সংসদের দিকে যাবে, তারা ভুল ভাবছে: হাসনাত পিরোজপুরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ওকালতনামা না নিয়েই চিন্ময়ের পক্ষে আদালতে আইনজীবী, আবেদন খারিজ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার: আসিফ মাহমুদ খাদ্য জোগানে সবচেয়ে বড় বাধা অপরিকল্পিত উন্নয়ন: উপদেষ্টা ফরিদা প্রবাসীদের পাসপোর্ট নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল ঘন ঘন বৈঠক প্রমাণ করে সরকার কর্মব্যস্ত: অর্থ উপদেষ্টা

ভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবে

  • আপলোড সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৬:১০:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১২-২০২৪ ০৬:১০:২৭ অপরাহ্ন
ভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবে
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) একক রেট নির্ধারণ করতে পারলে ফাঁকি বা লিকেজ অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। একইসঙ্গে যে-সব জায়গায় কর ছাড় দেওয়া রয়েছে, তা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর ছাড় কমানোর বিকল্প নেই। কাউকে কর ছাড় দেওয়া আর কাউকে না দেওয়া এক ধরনের বৈষম্য। যদিও কর ছাড় জনস্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে অতিরিক্ত ছাড়ও দিয়েছি। ধীরে ধীরে এটি যৌক্তিকীকরণ করতে হবে। কর ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। এখান থেকে বের হতে না পারলে রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আমাদের মূল ম্যাসেজ হলো, একক রেটে ভ্যাট নির্ধারণ করলে ভালো হয়। এতে লিকেজ অনেক কমে যায় এবং বাস্তবায়ন সহজ হয়। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেব।”

তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কর অব্যাহতির বিষয়টি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডিম, ভোজ্য তেল ও খেঁজুরের ওপর কর প্রত্যাহার করায় কর আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এটি জনস্বার্থে করতে হয়েছে। রিজার্ভ কমে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাজারে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, পরিস্থিতি উন্নতি হলে ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আয়কর নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ হলেও ভ্যাট নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা মাত্র ৫ লাখ। এটি অত্যন্ত কম। আমি সম্মানিত করদাতাদের ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানাব। কারণ এখন ঘরে বসেই ভ্যাট নিবন্ধন, পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করা যাবে। আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করনেট বাড়াতে হবে। ডোর-টু-ডোর কার্যক্রম পরিচালনা করব। যদি ভ্যাট নেটের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারি, তবে ছয় মাসের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। আমাদের এই সংকট থেকে উত্তরণে আর কোনো বিকল্প নেই।”

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করদাতাদের প্রতি সততার সঙ্গে সেবা দিতে হবে। করদাতারা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, তাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।”

এনবিআর জানায়, ভ্যাট ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও ১০ ডিসেম্বর “ভ্যাট দিবস” এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর “ভ্যাট সপ্তাহ” উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য, “ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে”, যা জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

কমেন্ট বক্স